মোঃ শাহীন খান পরিচালক, ০৪ নং আউড়িয়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, নড়াইল সদর, নড়াইল । মোবাঃ ০১৯২১২৮৪২৯৫
পিতা মো: গোলাম রসুল পেশায় এক জন ব্যবসায়। অভাবের সংসারে অজ্ঞতা স্বীকারে আমি তিন বোনসহ আমরা তিন ভাই। বুঝতে শিখে খুব কষ্টের মাঝে সংসার চালাতে দেখেছি । বহুবছর আগে নয় ২০০৫ সালে আমি দাখিল পরিক্ষার্থী । পিতার কাছে কলম-খাতা চাইলে কিনে দেয় কিন্তু দিতে দিতে ৩-৪ দিন লেগে যেত । পরের গাইড জোগাড় করে পড়তে হত । নিজে নিজে প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের প্রাইভেট ফি দিতে হত ও পাশাপাশ হাউজ ওয়ারীং এর কাজ করতাম বাড়ি বাড়ি তার মধ্যো দিয়েই এস,এস,সি-২০০৫ সালে সবচেয়ে ভাল রেজাল্ট করে ভর্তি হলাম নড়াইল সিটি কলেজে । অভাবের তাড়নায় বাকি লেখা পড়া করা সম্ভব হল না । কলেজ জীবনে কোচিং ও প্রাইভেট পড়িয়ে সংসারের অন্যান্যদের পড়ালেখার দায়িত্ব নিতে হল । তারপর ঢুকে পড়লাম ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে । ধীরে ধীরে খুব সুনামের সাথে কাজ করতে লাগলাম । আয় খুবই কম হতো তারপরেও খুব সম্মানের সাথে কাজ করতাম । বয়স হল বাড়ি থেকে বিয়ে দেবে । মেয়ে দেখতে গেলে ছেলে কি করে উত্তর দিলে যখন আবার জিজ্ঞেস করত ছেলের বেতন কত? তখন আর কোন উত্তর দিতে পারতাম না । বেতন না পেলেও পাবলিকরা জানে যে আমি চাকুরী করি । এখন ছোট ভাইয়েরা খাতা-কলম চাওয়ার আগেই রিম রিম খাতা ও ডজন ডজন কলম পেয়ে যায় । বাড়ি সব সময়ই বন্ধু বান্ধব আসা-যাওয়া করে । কারণ বাড়ির পরিবেশ এখন অনেকটাই ভাল, দালান হয়েছে । পিতা নিজস্ব জমি-জমা দেখাশুনা করে (পরবর্তীতে নিজেরা রাখা) । প্রতিদিন হাতখরচ বাবদ ৩০-৪০ টাকা দিতে হয় । এখন তিনি একজন সামাজিক লোক । পরবর্তীতে বিয়ে করলাম । এখন একটা মেয়ের বাপ । মেজো ভাইডি ডিগ্রী ফাইনাল পরীক্ষা দিছে এখন পাসপোর্ট করিয়ে বিদেশ পাঠাব । আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভাল দিনগুলি যাচ্ছে । সবাই আমাকে ও আমার পরিবারকে অনেক অনেক ভালবাসে । যে কোন ছোট সমস্যায়ও পড়লে প্রায়ই ছুটে চলে আসে আমার কাছে । যে মেয়েটে প্রেম করতে দ্ধিধাবোধ করত আজ সে বউ না হতে পেরে আফসোস করে-এটার আমার বড় পাওয়া আর এসব সম্ভব হয়েছে আল্লার ইচ্ছায় ইউডিসি পরিচালক হতে পেরে ।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS